মালয়েশিয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বলেছে কভিড-১৯ আক্রান্ত বৃদ্ধির জন্য মালয়েশিয়াতে অভিবাসি কর্মিদেরকে দোষ দিবেননা
৬ জুন ২০২০ প্রকাশিত, মালয়েশিয়াকিনি
বর্তমানে কভিড-১৯ সংক্রমন বৃদ্ধির জন্য অভিবাসি কর্মীদের দোষ না দেয়ার ব্যপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে সতর্ক করেছে, ষ্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বলে কোন ব্যক্তি খুব সহজে তার পরিবার পরিজন ফেলে বিদেশে কঠিন জিবন যাপন করতে আসেনা ।
অন্যদের মধ্যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় গতকাল একটি ফেসবুক পোষ্টে উল্লেখ করে বলেছেন যে, অনেক অভিবাসি কর্মীরা তাদের কর্মস্থলের বাইরে সামাজিক দুরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধিগুলি মেনে চলতে পারেনা ।
আমরা তাদের দোষ দিতে পারিনা কারন তারা মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন জটিল অবস্থায় থাকতে বাধ্য হচ্ছে । যেখানে তাদের অন্য কোন উপায় নাই ।
” তারাই হচ্ছে অভিবাসি কর্মী যারা শুধু তাদের দরিদ্রতার কারনে এখানে এসেছে । তাদের যদি অন্য কোন উপায় জিগ্গেস করা হয় তবে এটা নিশ্চিত যে তারা তাদের পরিবারের সাথে থাকতে চাইবে “। ৯ জুন এর পর শর্তশাপেক্ষে চলাচলের নিয়ন্ত্রন আদেশ (এমসিও) আরো বাড়ানো হতে পারে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই কথাগুলি বলেছেন ।
তিনি আরও বলেন, “কেউ কষ্টে থাকা কে বেছে নিবেনা” ।
গত সপ্তাহগুলিতে অভিবাসি কর্মীদের কভিড-১৯ সংক্রমনের বিভাগ সনাক্ত করা হয়েছে । তারা হচ্ছে যারা বর্তমানে চাকুরিতে বা কাজে রয়েছে অথবা ৪টি ডিটেনশান ডিপোতে আটক রয়েছে । স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বলেছে যে, একটি ভাল এবং নিদ্রিষ্ট কর্ম পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারনের কারনে স্থানীয় মালয়েশিয়ানদের মধ্যে সংক্রমনের হার বিশেষ ভাবে কমতে দেখা যায় । যেটা অভিবাসি কর্মীদের ক্ষেত্রে বলা যাবেনা ।
মন্ত্রী মালয়েশিয়ানদের উল্লেখ করে বলেছেন যে, অভিবাসি কর্মীদের মধ্যে যে সংক্রমনের হার দিনে দিনে বাড়ছে তা অবহেলা করা যাবেনা কারন তাদের কোম্পানি বা নিয়োগকর্তার মাধ্যমে বাসস্থান না পাওয়ায় তারা স্থানীয় লোকজনের সাথেই বসবাস করছে ।
যদিও মালয়েশিয়ানদের অভিবাসী কর্মীদের উপর উন্নত কর্ম পরিচালনা পদ্ধতি বাস্তবায়নে উতসাহিত করার দায়িত্ব রয়েছে, মন্ত্রী আরো বলেছেন যে, বর্তমান কভিড -১৯ প্রতিরোধের দিকনির্দেশনা কে গুরুত্ব দিয়ে শ্রমিকদের জন্য উন্নত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা নিয়োগকর্তাদের একটি বড় দায়িত্ব।
”স্থানীয় এবং অভিবাসিদের উন্নত কর্ম পরিচালনা পদ্ধতি বাস্তবায়নের সাথে সম্মতি থাকতে হবে। তাছাড়া উভয়ে একসাথে বসবাস বা জীবনযাপন করতে পারবেনা” । এখানে আরো বলা হয়েছে যে, কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্তকরনে ও তাদের চিকিতসায় মন্ত্রীর বড় ভূমিকা রয়েছে ।
অনেকগুলি রাজ্যেই কভিড ১৯ সংক্রামিত অভিবাসি শ্রমিকদের এলাকা সনাক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ একটি নির্মানাধীন এলাকা সনাক্ত করা হয় যেখানে মে মাসের ১২ তারিখ থেকে পূনরায় কাজ শুরু করেছিল ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক ডাঃ নূর হিশাম আবদুল্লাহ আগে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে সংক্রামক রোগের মহামারি প্রতিরোধের জন্য বিদেশী কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা ও জীবনযাত্রার মান উন্নতি করা উচিত।
মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানন আরও ঘোষণা করেছিলেন যে কর্মীদের আবাসন বিষয়ে মন্ত্রীদের কঠোর নজরদারি করার আদেশ দেন এবং আইন প্রয়োগের জন্য নিয়োগকর্তাদেরকে আরও সময় বাড়িয়ে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে দেয়া হয়।